চোর সুভাষ ভাতার ছাড়ো - তৃণমূলের বিধায়ককে ঘিরে তৃণমূলেরই স্লোগান , বিক্ষোভ

4th March 2020 বর্ধমান
চোর সুভাষ ভাতার ছাড়ো - তৃণমূলের বিধায়ককে ঘিরে তৃণমূলেরই স্লোগান , বিক্ষোভ


ভাতার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মন্ডল এলাকায় কোনো উন্নয়ন মূলক কাজ করেননি বলে অভিযোগ । এমনকি পঞ্চায়েতের টিকিট দেবার নাম করে বহু টাকা আদায় করেছেন । পুরানো তৃণমূল কর্মীদের বাদ দিয়ে অন‍্য দল থেকে আসা ব‍্যক্তিদের নিয়ে দল চালাচ্ছেন । " চোর " অপবাদ দিয়ে প্রকাশ‍্যে বিধায়ককে ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের কর্মীরাই । দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে এসে এভাবে ঘেরাও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে দলের কর্মীদের কাছে তা কেউ ই ভাবেননি । দীর্ঘক্ষন দলীয় কার্যালয়ে ঘেরাও থাকার খবর পেয়েই বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে ঘটনাস্থলে ।ভাতার ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বহুদিনের । মানগোবিন্দ অধিকারীর সাথে দীর্ঘ দিনের বিবাদ । সেই বিবাদের জেরেই এই বিস্ফোরন কর্মীদের । যদিও সবশেষে আগামী ৬ ই মার্চ ফের বৈঠকে বসে দলের কর্ম পদ্ধতি ও কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে আপাতত পরিস্থিতি শান্ত হয় । প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা সহ অনান‍্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন । যদিও বিক্ষোভ প্রকাশ‍্যে ফেটে পড়লেও কোন বিক্ষোভ হয়েছে কি না জানা নেই বলে জানিয়েছেন বিধায়ক সুভাষ মন্ডল । এই ঘটনার জেরে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন কাটমানির ভাগাভাগি নিয়ে এই বিক্ষোভ । বিধায়ক , ব্লক সভাপতি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন । বহু জমি , বাড়ি , গাড়ি করেছেন সব । তাছাড়া ভাতার হাসপাতালে সম্প্রতি কিছু নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে । সেখানে বিধায়ক সব কোটা নিজেই নিয়ে স্বজনপোষন করছেন তাই বিক্ষোভ বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব । সামগ্ৰিক ঘটনা ঘিরে সরগরম ভাতার ব্লক সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার রাজনৈতিক মহল ।

      ছবি - আমিরুল ইসলাম





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।